Showing posts with label Health Tips. Show all posts
Showing posts with label Health Tips. Show all posts

Monday, November 14, 2016

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন?

অনেকেই ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা কোনো ঋতুতেই ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পান না। অনেকের তো মাত্রাতিরিক্ত ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ঠোঁট ফেটে যায়। এমনকি ফেটে যাওয়া থেকে রক্তক্ষরণও হয়ে থাকে। শুকিয়ে ফেটে যাওয়া ঠোঁট দেখতে বেশ বিশ্রী লাগে। অনেকেই এই যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজে থাকেন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল এই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবার সহজ কিছু কাজ।

ভালো একটি লিপবাম ব্যবহার করুন

অনেকেই যেন তেন একটি লিপবাম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু লিপবামের কারনেও ঠোঁটের শুকিয়ে যাওয়ার ভাব আরও বেশ বেড়ে থাকে। ভালো একটি লিপবাম কিনুন। এবং গ্রীষ্মকালের জন্য এসপিএফ সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে করে ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না, রোদের কারণে ঠোঁটের ক্ষতি হবে না এবং ঠোঁট কালোও হবে না।

জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না

যাদের ঠোঁট শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদ অভ্যাস তৈরি হয়। যা হলো খানিকক্ষণ পর পর জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এই কাজটিতে ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না। কিন্তু এই কাজটিতে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই কাজটি থেকে বিরত থাকুন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন

প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের শুকিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে ত্বক হাইড্রেট থাকবে। এবং ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যাবে না।
ভালো প্রসাধনী ব্যবহার করুন
মেয়েরা ঠোঁটে নানা ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। যদি ভালো প্রসাধনী ব্যবহার না করেন তবে ঠোঁটের অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্যে ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যাওয়াও একটি। তাই ভালো কোনো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

ফেইসওয়াস ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

ঠোঁটে বেশি শক্তিশালী ফেইসওয়াস ব্যবহার করলেও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। তাই ফেইসওয়াস ব্যবহারের সময়ে ঠোঁট বাদ দিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। নতুবা মৃদু কোনো ফেইসওয়াস ব্যবহার করুন।
সূত্র: প্রিয় লাইফ

আসছে শীতের রুক্ষ ত্বকের যত্নে



ঠাণ্ডা মৌসুমে সৌন্দর্য চর্চা। শীতে ত্বক নরম রাখতে অনেক্ষণ ধরে গরম পানিতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা এবং সাবানের পরিবর্তে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শীতকালে ত্বকের যত্নে কয়েকটি টিপস দিয়েছেন ভারতের এনহ্যান্স ক্লিনিকের নির্বাহী পরিচালক এবং ত্বক-বিশেষজ্ঞ আক্রিতি মেহরা।

– শীতে অনেকক্ষণ ধরে গরম পানি দিয়ে গোসল উচিত নয়। সাবান ব্যবহারে সংযত হতে হবে। স্ক্রাব ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

– গোসলে ১০ মিনিটের বেশি সময় ব্যয় করা যাবে না। অবশ্যই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।

– সাবানের পরিবর্তে ময়েশ্চাইরাইজারযুক্ত ক্লিনজার কিংবা ‘বার’ ব্যবহার করতে হবে। এগুলোতো ত্বক রুক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

– অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বকের ক্ষেত্রে ‘সোপ ফ্রি’ ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।

Is It Safe To Eat Papaya During Pregnancy?

Papaya, due to its toothsome savor is titled as "production of the angels". When fully mature, pawpaw is an fantabulous author of beta-carotene, metal, vitamins A and B.
To eat or not eat papaia during gestation is a proposal some full women ask.

Papaya is widely advised inauspicious during pregnancy and women are verboten to eat both unripe and the mellow papaya in Bharat. Papaya is feared for its aborticide and teratogenic (exploit birth defects in the vertebrate) properties during gestation.

Let us perception at many technological studies on intake papaia in maternity:
Unripe papaya is not recommended when one is trying to conceive or is heavy.  Unripe papayas comprise papain in their latex which could locomote to contractions and abortion. Vegetational pepsin or papain has a soothing belief during indigestion. The latex of unripe pawpaw functions equivalent endocrine and prostaglandin (hormones) that signaling class signs to the embody.  During receive, unreal pitocin and prostaglandin are used for strengthening or initiating contractions of moil.
Nonindulgent hypersensitised reactions can become in touchy individuals due to papaya. Pawpaw latex is a spartan annoyance. Latex is author in unripe papaya and practical negligible in ripe papayas. Pawpaw latex straight at small levels could be insidious in women with a chronicle of premature have or natural abortion due to amplified process of contraction in the uterus.
In studies involving fishlike models, papaya seeds extracts hold been reportable to someone drug and anti-fertility activeness. However, there are no unambiguous studies on humans reported.
Completely ripened papayas are not believed to be a threat to gestation, nevertheless, conclusively it can't be said if mature papayas are completely uninjured or not during pregnancy.

Sunday, October 30, 2016

ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করবেন যেভাবে


ত্বকে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত দাগ হয়। এগুলো দূর করতে এ দেশেই অনেক ভালো চিকিৎসা রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৪০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : ত্বকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যে দাগ হয়, এর প্রধান কারণগুলো কী?
উত্তর : খুব প্রচলিত আমরা যে জিনিসগুলো দেখি, সেগুলো হলো মেছতা। গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ, বেশি কসমেটিকসের ব্যবহার, বেশি সূর্যের আলো—এসব কারণে মেছতা হতে পারে। এ ছাড়া আরো কারণ অনেকে মোটা হয়ে যাচ্ছে, দেখা যায় ঘাড় কালো হয়ে যাচ্ছে। মুখের আশপাশে কালো হয়ে যাচ্ছে। ওজন বেড়ে যাওয়া। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যানসারের কারণেও এ ধরনের দাগ হতে পারে। এ ছাড়া দেখা যায় যে কিছু কিছু জন্মদাগ আছে, কালো রঙের তিল। সব সময় কালো হবে তা নয়, কখনো কখনো সাদা রঙের তিল, লাল রঙের তিল। অনেকে মনে করে, শ্বেতী কি না। শ্বেতী হলে এটা অনেক জায়গায় ছড়িয়ে যাবে। যেটা নিভাস এনিমিকাস, জন্মদাগ যেটা, সেটা একই জায়গায় থাকবে। বাচ্চাটাও বড় হবে, সেটার আকারও শরীরের তুলনায় বড় হবে। খুব সহজে আমরা এটার রোগনির্ণয় করতে পারি। এ রকম সাদা, লাল, কালো দাগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন রোগ আছে। কিছু রোগ আছে লাইকেন প্লেনাস। যখন এটি ভালো হয়ে গেল, তখন স্মৃতিচিহ্ন রেখে যায়। এটা সাদাও হতে পারে, কালোও হতে পারে। এসব কারণে কিন্তু সারা গায়ে কালো দাগও হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেকের দেখা যায়, চোখের নিচেও কালো দাগ হয়। এটা নিয়ে অনেকে চিন্তিত হয়। শুধুই ঘুমের কারণে কি চোখের নিচে এই কালো দাগ হয়?
উত্তর : শুধু ঘুমের কারণে নয়, তবে ঘুম একটি কারণ। যারা খুব বেশি মানসিক চাপে থাকে, তাদের হতে পারে। এমনকি আমরা চোখের নিচের কালো দাগ দেখে বলি সে এটোপিক কি না। এটোপিক ডার্মাটাইটিস যাদের থাকে, তাদের চোখের নিচে একটি কালো দাগ। একে আমরা সংকেত হিসেবে দেখি। এর চিকিৎসা একটু কঠিন। আমরা যখন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে আলোচনা করি, তখন বিষয় থাকে চোখের নিচে কালো দাগ নিয়ে কী করি। এটা তো একটি কসমেটিকস সমস্যা। অনেকে এটি নিয়ে চিন্তিত থাকে। তবে এটা খুব সহজ নয়।
আমরা একে কমাতে পারি, না-ও করতে পারি, তবে সে ফিরে ফিরে আসতে চায়।
প্রশ্ন : লিপিড প্রোফাইল বা অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে কি এর সম্পর্ক আছে?
উত্তর : লিপিড প্রোফাইলের সঙ্গে এর খুব একটা সম্পর্ক নয়। তবে যেটা বলছি যে ওজন যদি বেশি বেড়ে যায়, তাদের ক্ষেত্রে এর একটা প্রভাব থাকতে পারে।
প্রশ্ন : একটি দাগ হলে একে কখন গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে?
উত্তর : যেমন ধরেন আমরা কথা বলছিলাম, জন্মদাগ বা তিল নিয়ে। সবারই মোল আছে, এগুলো নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তিত হতে হবে। একটি মোলের বিপদের লক্ষণগুলো কী কী? যদি দেখি একটি তিল অনেক দিন ধরে আছে, তবে হঠাৎ করে সে বড় হয়ে যাচ্ছে। চুলকাচ্ছে। এখান থেকে একটু পানি বের হচ্ছে, একটু রক্ত বের হচ্ছে। এর আশপাশে ছোট ছোট আরো নতুন নতুন তিল বের হচ্ছে। এগুলো দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
প্রশ্ন : বিশেষ করে মুখে গলায় কিংবা হাতে দাগ হতে দেখা যায়। এতে করণীয় কী?
উত্তর : বিশ্বব্যাপী আসলে সবাই সুন্দর হতে চায়। তাই এসথেটিক ডার্মাটোলজি একটি নতুন ব্রাঞ্চ। কীভাবে সুন্দর হওয়া যায়? অনেক রকম চিকিৎসা আছে। যেমন রোগ অনুযায়ী। যে মোটা হয়ে যাচ্ছে, তার কালো দাগ বেড়ে যাচ্ছে। প্রথম কথা হচ্ছে, সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দেন, ভাজাপোড়া কমিয়ে দেন। ব্যায়াম করেন। ওজন কমালে এই দাগ কমে যাবে। যাদের মেছতা আছে, তাদের যেই কারণগুলোর কথা বলছিলাম, সূর্যের আলো থেকে নিজেদের সুরক্ষা করতে পারব, এক নম্বর। নিয়মিত সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা নিতে হবে। এর আরো ভূমিকা রয়েছে। যারা বেশিদিন চামড়ার ভাঁজকে দূরে রাখতে চায়, তারা এটা ব্যবহার করতে পারে। ভিটামিন এ, ই আছে। এগুলো যারা খায়, তাদের চামড়ার কালো দাগও কম হবে, সুন্দরও থাকবে বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ আছে, এগুলো দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। জন্মদাগ আছে, সেগুলোরও চিকিৎসা করা যায়। যেমন লাল রঙের জন্মদাগ একভাবে চিকিৎসা করি, কালো রঙের জন্মদাগ আরেকভাবে চিকিৎসা করি। বিভিন্ন লেজার দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। রোদের কারণে কালো দাগ হচ্ছে। এখানে কিছু চিকিৎসা আছে, সেগুলো করতে পারি। অনেকখানি সেই দাগকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিতে পারি।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগ কি ভালো হয়?
উত্তর : এটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। এটা ভেতর থেকে হয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনেককেই ভালো করতে পারি। তবে আমরা বলে দিতে পারব না, এটা আবার হবে না। অনেকে ভালো থাকে। এর অনেক চিকিৎসা রয়েছে। উপমহাদেশে একটি সোসাইটি আছে, পিগমেন্ট রিসার্চ সোসাইটি। আমরা নিয়মিত বসি, আধুনিক চিকিৎসাগুলো বাংলাদেশেও আছে। এখন অনেক ভালো সার্জিক্যাল চিকিৎসা আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, মেলানিন কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তখন অন্য জায়গা থেকে মেলোনোসাইট নিয়ে সেখান থেকে বসিয়ে দিই।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগ কি ছোঁয়াচে?
উত্তর : কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এটা নিয়ে আসলে অনেক ভুল ধারণা আছে লোকজনের মধ্যে। আরেকটি প্রশ্ন করে অনেকে, এটা কি পরবর্তী প্রজন্মের হবে কি না? খুব কম হবে। ২০ ভাগের মতো হয়তো। কোনোভাবেই এটা ছোঁয়াচে না। দেখতেই খারাপ লাগে। এর আর কোনো ক্ষতিকর বিষয় নেই। তবে যাদের শ্বেতী আছে, তাদের সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা লাগবে।

চুল কালো করে আলুর খোসা!

অনেক সময় বয়স বাড়ার আগেই চুল পাকতে শুরু করে। মানে কালো চুল সাদা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সবাই চুল কালার করে ফেলে। অথচ এই কালারের কারণে চুল আরো সাদা হয়ে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে কালার ব্যবহার না করে আলুর খোসা ব্যবহার করুন। এই খোসায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, যা সাদা চুল কালো করার পাশাপাশি খুশকি দূর করে, চুল পড়া কমায় ও চুলের গোড়া মজবুত করে।

কীভাবে চুলে আলুর খোসা ব্যবহার করবেন, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

প্রথম ধাপ

প্রথমে ছয়টি আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার আলুর খোসাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন।

দ্বিতীয় ধাপ

এবার একটি প্যানে পানি দিয়ে গরম করুন। পানি ফুটতে শুরু করলে এর মধ্যে আলুর খোসাগুলো দিয়ে দিন। ৩০ মিনিট জ্বাল দিন। এবার চুলা বন্ধ করে ১৫ মিনিট এভাবেই রেখে দিন।

তৃতীয় ধাপ

এখন একটি ছাঁকনি দিয়ে এই সেদ্ধ পানি ছেঁকে অন্য একটি বাটিতে দিন। এই পানি কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। যদি এই পানি কালো ও ঘন হয়ে যায়, তাহলে এর মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে পাতলা করে নিন। আপনি চাইলে এর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

চতুর্থ ধাপ

এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশি করে কন্ডিশনার লাগান। পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর পর হাতের আঙুল দিয়ে চুল ছাড়িয়ে নিন। চিরুনি ব্যবহার করবেন না। কারণ, ভেজা অবস্থায় চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যেতে পারে।

পঞ্চম ধাপ

চুল কয়েকটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। তুলায় আলুর পানি নিয়ে মাথায় তালু ও চুল লাগান।

ষষ্ঠ ধাপ

পাঁচ মিনিট ভালো করে চুল ও মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। এবার একটি ব্যান্ড দিয়ে চুল বেঁধে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয় চুল ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তম ধাপ

এরপর চুল ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। দেখবেন, এভাবে কয়েকবার ব্যবহারের পর সাদা চুল কালো হতে শুরু করবে।

পেয়ারা পাতা চুলপড়া কমায়!


চুলের যত্নে অনেক উপাদান ব্যবহার করলেও পেয়ারা পাতার ব্যবহার আপনার কাছে নতুন ও বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশি এই ফল শরীর ও চুলের জন্য যেমন উপকারী তেমনি তার পাতাও উপকারী। পেয়ারা ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ যা চুলের বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে সাহায্য করে। আর তাই এই গাছের পাতা নিয়মিত চুলের যত্নে ব্যবহার করলে চুলপড়া রোধ করা সম্ভব।

সাধারণত চুলপড়া রোধে বাজারের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক এই উপাদান ব্যবহার করে অনেক উপকার পাবেন। তাই চুলের যত্নে কীভাবে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করবেন এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনলাইন বিউটি সাইট ‘স্টাইল ক্রেজ ডটকম’-এ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সহজ উপায়টি।

Monday, October 24, 2016

Early use of weed may lower IQ, affect brain function


Toronto: Individuals who were exposed to marijuana from a young age can have highly abnormal brain functioning and are also likely to be low on intelligence quotient (IQ) levels, a study has found.

Marijuana is the most commonly used illegal substance in the world.

The findings showed that participants who started using marijuana from early in life had highly abnormal brain function in areas related to visuo-spatial processing, memory, self-referential activity and reward processing.

The study found no evidence that marijuana use improved depressive symptoms, there was no difference in psychiatric symptoms between those with depression who used marijuana and those with depression who did not use marijuana, the researchers said.

The use of marijuana did not correct the brain function deficits of depression, and in some regions made them worse.

"The study suggest that using marijuana does not correct the brain abnormalities or symptoms of depression and using it from an early age may have an abnormal effect not only on brain function, but also on IQ," said Elizabeth Osuch from Lawson Health Research Institute, in Ontario, Canada.

Previous studies have suggested that frequent marijuana users, especially those who begin at a young age, are at a higher risk for cognitive dysfunction and psychiatric illness, including depression, bipolar disorder and schizophrenia.

For the study, Osuch and her team recruited youth in four groups: those with depression who were not marijuana users, those with depression who were frequent marijuana users, frequent marijuana users without depression, and healthy individuals who were not marijuana users.

Participants were later divided into youth who started using marijuana before the age of 17 and those who began using it later or not at all. They then underwent psychiatric, cognitive and IQ testing as well as brain scanning.

The results, published in the journal Acta Psychiatrica Scandinavica, showed differences in brain function among the four groups in areas of the brain that relate to reward-processing and motor control. 

Tuesday, September 20, 2016

কোন রঙের ফলে কী উপকারিতা

আমরা প্রতিদিন যে ফল বা সবজি খাই তা ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয়। এর কারণ কি জানেন? কারণ হচ্ছে, ফল ও সবজিতে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পেতে তাই বিভিন্ন রঙের খাবার বেছে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ থাকুন সবুজ পাতায়: সবুজ সবজি ভিটামিন এ, সি, ই, কে ও কয়েক ধরনের ভিটামিন বি-এর উৎস। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ ও পটাশিয়াম থাকে। পালং, বিভিন্ন সবুজ শাক, পাতাকপি, মটরশুঁটির মতো খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিত। কারণ এগুলো অন্যান্য খাবারের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর। সবুজ পাতাযুক্ত সবজিতে লুটেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের জন্য ভালো। রোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সবুজ শাকসবজির বিকল্প নেই। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে কমলা-হলুদে: বিটা ক্যারোটিন নামের ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি পাওয়া যায় মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়ায়। যা ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ঠাণ্ডার সমস্যা দূর এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে হলুদ রঙের ফল ও সবজি। ফলের মধ্যে কমলা, আম, পেঁপে, আনারস ও আঙুরে থাকা বায়োফ্লেভোনয়েড ভিটামিন সি-র সঙ্গে যোগ হয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে এবং হাড়-দাঁত শক্ত করে। এছাড়া দ্রুত জখম সারায় ও ত্বক সুন্দর করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমে লাল-গোলাপিতে: লাইকোপেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় লাল ও গোলাপি রঙের ফল ও সবজিতে। লাইকোপেনের নানা স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও লাল ও গোলাপি রঙের ফল ও সবজিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামের আরও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। টমেটো, তরমুজ, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, আঙুর, আপেল, লাল বাঁধাকপি, শিম এসবে থাকে লাইকোপেন ও অ্যান্থোসায়ানিন। তরুণ থাকুন নীল-বেগুনিতে: রোগ প্রতিরোধে সক্ষম ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্থোসায়ানিন ও ফিনোলিকস থাকে নীল ও বেগুনি রঙের ফল ও সবজিতে। ক্যানসার, হৃদরোগ, আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় বেরি ও কিশমিশের মত বিভিন্ন নীল ও বেগুনি রঙের ফল ও সবজি। বিষমুক্তি হবে সাদায়: পেঁয়াজ, রসুনে অ্যালিসিন নামের শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা ক্যানসার ও হৃদরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর এটি সাদা রঙের ফল বা সবজিতে পাওয়া সম্ভব। রসুনে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ক্ষমতা আছে সাদা সবজি কিংবা ফলে।

Sunday, September 18, 2016

তিনটি পাতা ব্রণের দাগ দূর করে!

অনেক সময় ব্রণ দূর হলেও এর দাগ থেকে যায়। আবার ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বকে ছোট কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এ ছাড়া রোদে পোড়া কালচে দাগ তো রয়েছে। ত্বকের সব ধরনের দাগ দূর করতে তিনটি পাতা খুবই কার্যকর।

জানতে চান কোন পাতাগুলো ত্বকের দাগ দূর করে? তাহলে জীবনধারা বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর জীবনধারা বিভাগের এই পরামর্শটি একবার দেখে নিতে পারেন।

যা যা লাগবে

তুলসি পাতা তিনটি, নিমপাতা দুটি, পুদিনা পাতা দুটি, একটি লেবুর রস, হলুদের গুঁড়ো এক চা চামচ। তুলসি ও নিমপাতায় অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করে। এ ছাড়া রোদে পোড়া দাগও দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতা ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে। আর লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে যা ত্বকের সব ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকর। অন্যদিকে হলুদের গুঁড়োর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যা ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। 

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে একটি ব্লেন্ডারে লেবুর রস নিয়ে এতে তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা ও নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এবার এর সঙ্গে হলুদের গুঁড়ো মেশান। এখন একটি ব্রাশ দিয়ে এই প্যাক পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একদিন ত্বকে এই প্যাক ব্যবহার করুন।

Saturday, September 17, 2016

রাতে ঘুম না আসলে করনীয় কী?

আমাদের সকলেরই রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম ঠিক মতো না হলে আমরা সারাদিন পরিশ্রম করতে পারি না। আর সারাদিনের ক্লান্তি দুর করার জন্য ঘুম খুব ই দরকার। তবে অনেকেই ঘুমের সমস্যার সম্মূখীন হয়। ঠিক মতো ঘুম হয় না। আপনার ও যদি এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এ সমস্যা টি দুর করতে পারবেন সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরন করলেই। এক্ষেত্রে আপনার জীবন ধারায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে। প্রথমেই জানা প্রয়োজন ঠিক কি পরিমান ঘুম আপনার দরকার। নিচে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১। একটি সহজ পরীক্ষা করুন

একটি রাতের পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল নির্ধারণ করতে পারেন। তবে সর্বোত্তম ফলাফল পেতে আপনি অনেকগুলো রাত মিলিয়ে পরীক্ষাটি করুন।

– এই পরীক্ষায় আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যেতে হবে। সবচেয়ে ভাল সময় হল এই পরীক্ষাটি করার যখন আপনার কাজ বা স্কুল/কলেজ বন্ধ থাকবে। তখন একটি নির্দিষ্ট সময় আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন এবং সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষা কার্যটি চালাতে পারবেন।

– এই কিছুদিন আপনি এলার্ম সেট করবেন না। ঘুম পূর্ণ হওয়ার পর আপনি স্বাভাবিকভাবেই জেগে উঠবেন। তবে চেষ্টা করবেন প্রথম রাতে একটি দীর্ঘ সময় ঘুমানোর। হয়তো ১৬ ঘন্টা বা তার বেশিও হতে পারে। এটা এ কারণেই যে আপনার ঘুম পূর্বে পূর্ণ হয়নি।

– গাড় ঘুমের জন্য রাতে আলো নিভিয়ে ঘুমাবেন। এখন আপনি জানবেন যে, আপনার শরীরের জন্য কত ঘন্টা ঘুম প্রতি রাতে দরকার।

– যদি আপনার পর্যাপ্ত ঘুম অর্জিত হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে ঘুমের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

২। আপনার স্বল্পমেয়াদী ঘুমের অভাব পূরন করুন

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আপনার শরীরের অনেক চাহিদা পূরণ হতে ব্যর্থ হয়। কাজ, খেলা বা পড়াশুনার জন্য হলেও যতটা সম্ভব দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। আপনি আপনার সকল কাজের জন্য একটি রুটিন করুন। প্রতিটি রাত্রে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য একটি ঘন্টা অতিরিক্ত যোগ করুন। এর মানে এই যে, আপনি এখন জানেন আপনার কতটুকু ঘুম দরকার এবং সেই হিসেবে আপনি ঘন্টা হিসাব করে রাখুন।

৩। দীর্ঘমেয়াদী ছুটি নিতে পারেন

দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের চাহিদা পুর্ণ করতে আপনার কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ছুটি নিতে পারেন। আপনি প্রতি রাতে একই সময়ে বিছানায় যাবেন এবং রোজ সকালে ঘুম না হওয়া পর্যন্ত জেগে না ওঠার চেষ্টা করবেন। এরপরেও যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে আপনি কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। ঘুম ঠিক মতো না হলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যেমন স্থূলতা, ইনসুলিন রোধ, স্ট্রোক, মেমরি লস এবং হৃদরোগ।

৪। বয়স অনুযায়ী ঘুমের চাহিদা চিহ্নিত করুন

ডাক্তার অথবা বিশেষজ্ঞরা বয়স অনুযায়ী ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী প্রদান করে থাকে। জাতীয় ঘুম ফাউন্ডেশন সহ কয়েকটি বিশ্বাসযোগ্য সাইট বয়সের পার্থক্য অনুযায়ী ঘুম নির্দেশিকা প্রদান করেন। আপনি ইচ্ছে করলে সে চার্ট ফলো করে আপনার জন্য ঠিক কি পরিমান ঘুম দরকার তা নির্ধারণ করতে পারেন।

৫। পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যতা

ঘুমের জন্য যে জায়গাটা আরামদায়ক সেই জায়গাটি আপনার জন্য নির্ধারণ করুন। আরামদায়ক এবং শীতল তাপমাত্রায় আপনার শয়নকক্ষ রাখুন। আপনি কখনই এমন জায়গা নির্ধারণ করবেন না যেখানে অনেক শব্দ যেমন টিভি থাকে বা রাস্তার ধারের কক্ষ। নিশ্চিত করুন যে আপনার গদি এবং বালিশ আরামদায়ক। শিশু ও পোষা প্রাণী একই বিছানায় নিয়ে ঘুমানো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

৬। আপনার খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন

স্বাস্থ্যকর একটি খাদ্যাভাস স্বাস্থ্যকর ঘুমের উপর অবদান রাখে। আর আপনার শরীরকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন এবং না খেয়ে কখনই ঘুমোতে যাবেন না। এতে আপনার স্বাস্থ্য ও ঘুম এই দুটোর উপরই ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। পরিমান মতো পানি পান করুন। ধূমপান বন্ধ করুন বা শয়নকাল ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া শয়নকালে এলকোহল ও এড়িয়ে চলুন। এলকোহল প্রাথমিক পর্যায়ে নিদ্রালু বোধ করাবে, কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যে এটি ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন করবে।

৭। ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘন্টা ব্যায়াম করুন সকাল ও সন্ধ্যা মিলিয়ে। কিন্তু রাতে শয়নকালে কখনই ব্যায়াম করবেন না। আপনি ঘুমোতে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি আপনার ঘুম না আসে তাহলে শুয়ে না থেকে উঠে পড়ুন। মানসিক চাপ থাকলে কিছুক্ষণ হাঁটুন ঘরের মাঝেই এবং কিছুক্ষণ ঝিম ধরে বসে থাকতে পারেন এবং পরবর্তীতে আবার ঘুমের জন্য বিছানায় আসুন। তবে ঘড়ি দেখা এড়িয়ে চলুন। ইতিবাচক কিছু চিন্তা করেন এবং ঘুমাতে হবে এমন চিন্তা মাথায় রাখুন।
এক ধরনের বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে যা কিনা আপনার দ্রুত ঘুম আনতে সহায়ক হবে। ব্যায়ামটি হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যা কিনা আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের জন্য খুবই সহায়ক। ব্যায়ামটির নাম হল ৪-৭-৮। যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভোগেন এবং সঠিক সময় মতো ঘুম হয় না তাদের জন্য ব্যায়ামটি খুব দ্রুত কাজ করে। আপনি এই ব্যায়ামটির মাধ্যমে কোনো কোনো সময় এক মিনিটেরও কম সময়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। প্রথমে আপনি ৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে নাক দিয়ে খুব ভালো করে শ্বাস নিন। এরপর আপনি ৭ সেকেন্ড দম ধরে রাখুন এবং এই সময় শ্বাস ছাড়বেন না। তারপর ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস ধীরে ধীরে ছাড়ুন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ড্রু ওয়েল ঘুম প্রসঙ্গে বলছেন, সকল মানুষেরই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য রাতের বেলায় পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম অত্যন্ত জরুরি। পরিমান মতো ঘুম কর্মক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ারও অন্যতম একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া আপনার ঘুমের সমস্যা যদি চলতেই থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন এবং কারন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করা ঔষধ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

ঈদে চাই স্বাস্থ্যকর খাবার

ঈদে সুস্থ থাকার জন্য চাই পরিমিত ও নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ। ঈদে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং বেশি বেশি খাওয়া বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। আর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানো তো কোনো বুদ্ধিমান লোকের কাজ নয়! তাই ঈদে সবার জন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার।

স্বাস্থ্যকর খাবারের কেন দরকার

স্বাস্থ্যকর খাবার একদিকে যেমন শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।স্বাস্থ্যকর খাবার দেহের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ায়।আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কিডনি, লিভার, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুসের স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্মের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার।ঈদে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে যা করবেন

* ঈদ আনন্দে হঠাৎ করে বেশি খাবার খাবেন না। বিরতি দিয়ে অল্প অল্প করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

* ঈদে বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না।

* চর্বিজাতীয় খাবার কম খান।

* কম মাংস ও বেশি করে দেশি ফল খাবেন।

* বাজারের কোমল পানীয় না খেয়ে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাবেন।

* খাবারের সঙ্গে সালাদ, যেমন—টমেটো, শসা, লেবু, কাঁচামরিচ খাবেন।

* হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য টক দই খেতে পারেন।

* খাবারে ক্ষতিকর রং, লবণ, ঘি, বাটার, পাম অয়েল ব্যবহার করবেন না।

* খাদ্যের ভিটামিন, পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে রান্না করবেন।

* মাংস রান্না করার আগে এর থেকে দৃশ্যমান চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করুন। এতে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে।

* মাংস রান্না করার সময় কম তাপে বেশি সময় দিয়ে রান্না করুন ।

* মাংসের ফ্রাই ও বারবিকিউ করবেন না। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে।

* বেশি করে আঁশযুক্ত শাকসবজি খান। খাবারে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ঈদে সুস্থ থাকুন।

Sunday, September 11, 2016

শরীরের ব্যথা দূর করে দিন ম্যাসাজের দারুণ সব কৌশলে

শরীরের ব্যথা দূর করে দিন ম্যাসাজের দারুণ সব কৌশলে
শরীরের নাম মহায়শ, যা সওয়াবে তাই সয়- এটা সব সময় খাটে না। শরীর আছে যখন, ব্যথা-বেদনাও থাকবেই। শরীরের এই ব্যথা তুঙ্গে উঠলে মাঝে মাঝে মনে হয় শরীর মালিশ করে দেবার জন্য একজন সহকারী থাকা বুঝি খুব দরকার! না, সহকারী দরকার হবে না। কিছু কৌশল জানা থাকলে নিজেই নিজের শরীর ম্যাসাজ করে নিতে পারেন, সেই ব্যথা যেখানেই হোক না কেন। চলুন দেখে নিই সেসব কৌশল।

১) টেনিস বল
পায়ের পেশী টানটান আড়ষ্ট হয়ে আছে, কিছুতেই শিথিল করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে একটি দেয়ালে হাত রেখে ভর দিয়ে দাঁড়ান এবং পায়ের ধনুকের মতো বাঁকানো অংশের নিচে একটা টেনিস বল রাখুন। আপনার পা ছোট হলে গলফ বল রাখতে পারেন। ধীরে ধীরে বলের ওপর শরীরের ভার দিতে থাকুন। পায়ের নিচে গড়িয়ে নিন। দেখবেন আরাম লাগছে। এছাড়া হিপ, শোল্ডার ব্লেডের মাঝামাঝি জায়গা অথবা পিঠের নিচের দিকের ব্যথা দূর করতেও টেনিস বল কাজে লাগাতে পারেন। মেঝেতে বল রেখে এর ওপর শুয়ে পড়ুন এবং ধীরে ধীরে এর ওপরে গড়িয়ে নিন। ক্লান্ত হাতের স্ট্রেস দূর করতে একটা টেনিস বল হাতের মুঠোয় শক্ত করে রেখে চাপ দিন। বরফ জমাট পানির বোতল দিয়েও পায়ের মাসাজ করতে পারেন।

২) ঘাড়ের শান্তি
ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের দিকে চেয়ে ঘাড়ের বারোটা বাজাচ্ছেন আপনি। তালুর নিচের অংশটা দিয়ে স্পাইনাল কর্ডের দুপাশে ধীরে ধীরে চাপ দিন। ওপর নিচ করে মাসাজ করে নিন। এরপর মাথার বাম দিকে খুলির ঠিক নিচে যে চৌকো মাসল আছে তাতে চাপ দিন। মাথা বাম দিকে হেলান। মাসাজ করতে করতে কাঁধের দিকে হাত নামান। তিনবার এটা করে মাথার অন্যপাশেও এই কাজটি করুন। এছাড়া ঘাড়ের সামনের দিকের জন্য আরেকটি ব্যায়াম করতে পারেন। মাথা পেছনে হেলিয়ে চেয়ারের পিঠে রাখুন। খুলির ঠিক নিচে ঘাড়ের অংশটি চেয়ারে চেপে রাখুন ২০ সেকেন্ড।

৩) নিজেকে পিটিয়ে নিন
শরীর সবসময় ম্যাজম্যাজ করলে দিনে দুইবার করতে পারেন এই কাজটি। হাত মুঠো করে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে নিন। সকালে কাজটি করলে ঘুম পালাবে নিমিষেই। সন্ধ্যায় করলে শরীর থেকে স্ট্রেস এবং টেনশন দূর হবে।

৪) হিল জুতো পরার পর
সারাদিন হিল পরে হাঁটাহাঁটি করলে পায়ের মাসলে টান পড়ে। হিল খুলে ফেলার পরে এদেরকে যত্ন করাটা জরুরী। একটি চেয়ারে বসে পাতের পাতা সমান করে মেঝেতে রাখুন। এরপর একিলিস টেন্ডনের ওপর বুড়ো আঙ্গুল রেখে গোড়ালির ওপরের মাসল শক্ত করে চেপে ধরুন। এভাবে চাপ দিতে দিতে হাঁটু পর্যন্ত হাত নিয়ে আসুন। অন্য পায়েও এই কাজটি করুন।

৫) খাবার পরে পেটে হাত বোলানো
আপনি হয়তো বিয়েবাড়িতে গিয়ে প্রায়ই দেখেন মোটাসোটা ভুঁড়িওয়ালা কোনো ব্যক্তি খাওয়া শেষে আরাম করে পেটে হাত বোলাচ্ছেন। এতে আপনার হাসির উদ্রেক হলেও কাজটি কিন্তু উপকারী। এক হাত বা দুই হাতের তালু ক্লকওয়াইজ পেটের ওপর ঘুরিয়ে মাসাজ করুন। এতে হজম সহজ হবে।

৬) ব্যায়ামের আগে-পরে
ব্যায়ামের আগে-পরে শরীর ওয়ার্ম আপ করে নিতে হয় যাতে ইনজুরি এড়ানো যায়। এর জন্য ম্যাসাজ সহায়ক। হাত ও পায়ের মাসল হাতের মুঠো দিয়ে পিটিয়ে নিন। এবার ব্যায়াম শুরু করুন।

৭) ক্লান্ত চোখ
সারাদিন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখেরও আরাম দরকার। এর জন্য দ্রুত দুই হাতের তালু ঘষে গরম করে নিন। এবার প্রতি চোখের ওপর হাতের তালু দিয়ে রাখুন। এই উষ্ণতা শান্তি দেবে। চোখের আশেপাশে মাসাজ করেও নিতে পারেন।

৮) ঘরে তৈরি হিটিং প্যাড
একটা মোজার তিন চতুর্থাংশ ভরে নিন চাল দিয়ে। এটাকে গিঁট দিয়ে বা রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে নিন। এবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ২ মিনিট গরম করে নিন। এরপর মাসলে ঘষে নিন ব্যথা দূর করার জন্য।

৯) মাসাজ বক্স
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলেই পা ব্যথা? অথবা সকালে অফিস যাবার সাথে সাথেই? ওখানে রাখুন একটা মাসাজ বক্স। একটা জুতোর বক্সে বেশ করে গলফ বল রেখে দিন। পা ব্যথা করলে চেয়ারে বসে এর ওপর পায়ের তলা গড়িয়ে নিন।

এছাড়াও যা করতে পারেন-
১। হাতে লোশন মাখার সময়ে হাত মাসাজ করে নিন
২। সাইনাসের ব্যথা হলে নাক ও কপাল মাসাজ করুন আঙ্গুল ঘুরিয়ে
৩। হাতের মাসল ব্যথা করলে ট্রাইসেপ চিমটি কাটুন
৪। ঘাড়ের আড়ষ্টতা দূর করতে নিজেকে জড়িয়ে ধরুন
৫। অল্প অল্প করে চুল টেনে নিলে মাথাব্যথা কমে যাবে
৬। রাতে ঘুমানোর আগে পা মাসাজ করে নিন ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে

মাথা ব্যাথা! সমস্যা ও সহজ সমধান

‘মাইগ্রেন’ অসহনীয় মাথা ব্যথার অপর নাম। আর দশটা মাথা ব্যথা থেকে ভিন্ন এই মাথা ব্যথা। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার একপাশ থেকে শুরু হলেও আস্তে আস্তে এটি সম্পূর্ণ মাথায় ছড়িয়ে যেতে থাকে। মাথা ব্যথার সাথে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে মাইগ্রেনের সময়। ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষন্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষ্যণ।

মাইগ্রেনের স্থায়ী কোন সমাধান নেই। ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত ব্যথানাশক ঔষুধ বা পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করে থাকে।

মাইগ্রেন ব্যথা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ। বিট লবণ মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না।

যা যা লাগবে:
অর্ধেকটা লেবুর রস
হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে অর্ধেকটা লেবুর রস করে নিন।

২। এর সাথে এক টেবিল চামচ উচ্চ পরিবেশিত ঘনত্ব সম্পন্ন হিমালয় মিশিয়ে নিন।

৩। সাধারণত অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মেশানো হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে একগ্লাস লেবুর রসের সাথে হিমালয় ক্রিস্টাল সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় এই পানীয়টি খেতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে:
হিমালয় সল্টে ৮৪টির মত মিনারেল, ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান আছে, যার মাত্র ১১৮টি উপাদান বৈজ্ঞানিকরা আবিস্কার করতে পেরেছেন। হিমালয় সল্টের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তারা অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মিশিয়ে পান করুন।

এই পানীয়টি আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে দেবার পাশাপাশি বমি বমি ভাবসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দূর করে দিবে। এটি ব্যথা হ্রাস করে আপনাকে কাজে শক্তি যুগিয়ে থাকে।

সতর্কতা: যাদের উচ্চ রক্তাচাপের সমস্যা আছে বা অন্য কোনো কারণে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া মানা, তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন এই উপায়টি অনুসরণ করার আগে।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

অনেকের ধারণা সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেকে বিশেষ করে দাদী নানীরা মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এত তর্ক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করেছেন খালি পেটে রসুন শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবায়েটিক তৈরি করে থাকে। যা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণে খালি পেটে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।

১। রসুন হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি শুধু রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে না, হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এর পাশাপাশি লিভার এবং ব্লাডার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

২। পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রসুন বেশ কার্যকরী। সকালে খালি পেটে রসুন নার্ভ সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৩। রসুন আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি পাকস্থলিতে উৎপাদিত অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস, হতাশা, ট্রাইপাস, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে দেহের সার্বিক উন্নয়ন সাধান করে থাকে।

৪। পেটের নানা অসুখ ভাল করার পাশপাশি রসুন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেও রসুন বেশ কার্যকরী।

৫। যক্ষা, নিউমিনিয়া, ব্রংকাইটিস,দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালী শ্লেষ্মা, হাঁপানি, অ্যাজমা, হুপিং কাশি সর্বোপরি শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে রসুন। তবে হ্যাঁ অব্যশই খালি পেটে খেতে হবে রসুন।

যেভাবে খাবেন:
সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে দুই কোয়া রসুন খেয়ে ফেলুন। তারপর পানি পান করুন। রসুন চিবিয়ে খান।

সতর্কতা:
১। রসুন খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন রসুনে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা। রসুনে অ্যালার্জি থাকলে কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে রসুনের স্যাপ্লিমেন্টরী খেতে পারেন।

২। রসুন খাওয়ার পর যদি ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয়, অথবা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অথবা মাথাব্যথা শুরু হয় তবে রসুন খাওয়া বন্ধ করে দিন।

৩। আপনি যদি কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন, তবে রসুন খাওয়ার আগে অব্যশই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।