মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। শনিবার ঘিওর উপজেলা সদর বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচের দামে ওই ঊর্ধ্ব গতি দেখা গেছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২ শ' থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তাও আবার সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অনেক ক্রেতাই মরিচ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় কাঁচামরিচের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ও ঈদের ছুটির মধ্যে ব্যবসায়ীরা আমদানি না করায় বাজারে তিন দিন ধরে কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দেয়।
বাহাদুর মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী মানিকগঞ্জ এলাকা থেকে ২০ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রির জন্য বানিয়াজুরী বাজারে নিয়ে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে মধ্যে তার মরিচ কেনার জন্য অর্ধ শত ক্রেতা ভিড় জমান।
কুস্তা গ্রামের আব্দুর রহমান, মত্ত এলাকার আব্দুর রহিম, ত্বরা গ্রামের সুরেন্দ্র হালদার জানান, ২ শ' টাকা কেজি দরেও কাঁচামরিচ না পেয়ে খালি হাতেই তাদের বাড়ি যেতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার সময় কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০/১৭০ টাকা। শুক্রবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ২ শ' থেকে ২৪০ টাকা। ঘিওর উপজেলা গেটের হোটেল মালিক লতা সাহা বলেন, শনিবার হোটেলের জন্য কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে দেখি, দাম ২২০ টাকা কেজি। তারপরও পর্যাপ্ত মরিচ নেই বাজারে। লাগবে তিন কেজির জায়গায় কিনেছি এক কেজি।
মানিকগঞ্জ আড়তের কাঁচা মরিচের পাইকারী ব্যবসায়ীর আলী হোসেন জানান, সরবরাহ কম তাই বেশি দামে মরিচ কিনে আনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেশি হলে আবারও দাম কমবে। বন্যার পানি ও বৃষ্টির পানিতে অনেক মরিচ গাছ মরে গেছে, তাই কাঁচা মরিচের সংকট। তাছাড়া, বছরের এ সময় মরিচের দাম একটু বেশিই থাকে।
No comments:
Post a Comment